পাখির হ্যান্ডফিডিং ফর্মূলা

হ্যান্ডফিডিং,হ্যান্ডফিডিং ফর্মূলা

পাখির জন্য পুষ্টিকর হ্যান্ডফিডিং ফর্মুলা😋🐥🐦
তোতা জাতীয় পাখিদের মধ্যে প্রজাতি ভেদে খাদ্যাভাসেও ভিন্নতা আছে।
খাদ্যাভাসের ভিন্নতা অনুযায়ী তোতা জাতীয় পাখিদের মূলত ৫ ভাগে ভাগ করা হয়।
১)ফ্লুরিভোর-- (শস্য,বীজ,বাদাম,গাছের ছাল,বিভিন্ন গাছের শেকড় বা মূল,বেরি ইত্যাদি এদের প্রধান খাবার)
২)ফ্রুগিভোর-- (ফল,মধু,বাদাম,বীজ ইত্যাদি এদের প্রধান খাবার )।
৩)ওমনিভোর --(বীজ,ফল,পোকামাকড়, ইত্যাদি এদের প্রধান খাবার )।
৪)গ্রেণিভোর-- (শস্য,বীজ,ফল মূল ইত্যাদি এদের প্রধান খাবার )
৫)নেকটারিভোর--(মধু,পোকা,বীজ ইত্যাদি এদের প্রধান খাবার )
আমাদের দেশের প্রায় অধিকাংশ কেইজ বার্ডই
গ্রেণিভোর এবং নেকটারিভোর।
বাকি প্রজাতি গুলোও আছে,তবে তা সংখ্যায় অনেক কম।যেহেতু এখন গ্রেণিভোর(বাজেরিগার, ককাটেল,লাভবার্ড) প্রজাতির প্রজনন মৌসুম চলছে,তাই অনেকেই এইসময় পাখির বাচ্চা নিয়ে বিপদে পড়ে যান,,কোথাও প্যারেন্টস অসুস্থ হয়ে পরে,কোথাও প্যারেন্টস আর ফিড করায় না,আবার কেউ কেউ অন্যান্য কারণেও পাখিকে হ্যান্ডফিড করাতে চান।অনেকেই অনেক নামি-দামি ব্র্যান্ডের হ্যাডফিডিং ফর্মুলা ইউজ করে,আবার অনেকেই সুযোগের অভাবে কিনে আনতে পারেন না।
যারা এই না কিনে আনার দলে রয়েছেন,তাদের জন্যই এই হ্যান্ডফিডিং ফর্মুলার রেসিপি।
------------------ ------ ------🔴
♻️হোমমেইড হ্যান্ডফিডিং ফর্মুলা(১০০ গ্রাম)--
🟢মটর/এংকর ডাল=২০ গ্রাম
🟢মুগ ডাল=২০ গ্রাম
🟢ভূট্টা=১০ গ্রাম
🟢ছোলা=১৫ গ্রাম
🟢গম=৫ গ্রাম
🟢ডিম=কোয়েলের (২টা)/মুরগীর অর্ধেক ডিম
🟢পাখির খাদ্য-যোগ্য শাকসবজি+ফলমূল =২৫গ্রাম
🟢বাদাম=৫-১০ টা
🟢লেবুর রস=২-৩ ফোটা
🟢আদার রস= ৩-৫ ফোটা
🟢মধু=১মি.লি.
🟢কড লিভার অয়েল(সপ্তাহে ২ দিন)=আধা মি.লি.
🔘এখানে বাদাম,লেবু,আদা,মধু,কড লিভার অয়েল বাদে
সকল উপাদান সেদ্ধ করে তারপর ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে খাওয়াবেন।
সংরক্ষণঃ শস্য গুলোর সাথে ডিম,কড লিভার অয়েল,ইত্যাদি সংযুক্ত না করলে শস্য গুলো ফ্রিজে রেখে ৪ দিন পর্যন্ত খাওয়ানো যাবে।তবে প্রতিবার খাওয়ানোর পূর্বে গরম করে নিতে হবে।
🔘এবং ৩৬°-৩৯° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় হ্যান্ডফিড খাওয়াতে হবে।
🔷এই হ্যান্ডফিড রেসিপি থেকে পাখি যা যা পাবে---
প্রোটিন, ফ্যাট,ক্রুড অ্যাশ,ক্রুড ফাইবার,লাইসিন,মিথিওনিন,ট্রিপ্টোফ্যান, থ্রিওনিন, ক্যালসিয়াম,ফসফরাস, সোডিয়াম,ম্যাগমেসিয়াম।
ভিটামিন ও মিনারেলঃ
ভিটামিন A,B1,B2,E,K3,D3,C,বিটা ক্যারোটিন, জিংক,সেলেনিয়াম, ক্লোরিন ক্লোরাইড,নিয়াসিন,বায়োটিন,ফলিক এসিড,আয়োডিন।
🔘পাখির বাচ্চার বয়স যখন ১-৭ দিন তখন এই ফর্মুলা যথেষ্ট পাতলা করে বানাতে হবে। ৭-১৫ দিন বয়সে এই ফর্মূলা পূর্বের চেয়ে আরেকটু ঘন করতে হবে। এবং ১৫-২৫ দিন বয়সে আরেকটু ঘন করে বানাতে হবে। ২৫-৩৫ দিনে আরো ঘন করে বানাতে হবে।
🔘 পাখির বয়স ও হজমের ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে এই ফর্মুলা দিনে ২-১০ বার ব্যবহার করা যাবে।
ধন্যবাদ
ভালো থাকুক সবার পাখি।
   

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পাখির জন্য এগফুড